Sale!

ভার্মি কম্পোস্ট (Varmi Compost)

Original price was: 30.00৳ .Current price is: 25.00৳ .

বিশেষ সুবিধা:

– বিষমুক্ত: রাসায়নিক অবশিষ্টাংশ নেই।

– সাশ্রয়ী: বাড়িতেই তৈরি করা যায়।

– টেকসই: মাটির দীর্ঘমেয়াদী উর্বরতা বজায় রাখে।

ভার্মি কম্পোস্ট আধুনিক কৃষি ও টেকসই চাষাবাদের জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকর সমাধান। এটি মাটির স্বাস্থ্য ফিরিয়ে এনে ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়ায়, পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণেও ভূমিকা রাখে।

Category:

Description

ভার্মি কম্পোস্ট (Verme Compost) কি ?

ভার্মি কম্পোস্ট (Verme Compost) হলো এক ধরনের উচ্চমানের জৈব সার, যা বিশেষ প্রজাতির কেঁচোর সাহায্যে জৈব বর্জ্য পচিয়ে তৈরি করা হয়। এটি “কেঁচো সার” নামেও পরিচিত। এই প্রক্রিয়াকে ভার্মিকম্পোস্টিং (Vermicomposting) বলা হয়।

 কিভাবে তৈরি হয় ?

১. কেঁচোর ভূমিকা: সাধারণত লাল ক্যালিফোর্নিয়ান কেঁচো (Eugenia fetida) বা নীল কেঁচো (Perionyx excavatus) ব্যবহার করা হয়। এরা জৈব বর্জ্য দ্রুত খায়, হজম করে এবং মলত্যাগ করে।

২. উপাদান: গোবর, ফসলের অবশিষ্টাংশ, রান্নাঘরের উচ্ছিষ্ট (যেমন: সবজির খোসা, ফলের অবশিষ্ট, চা-কফির ভুসি), পাতা ইত্যাদি।

৩. প্রক্রিয়া: কেঁচোগুলো বর্জ্য খেয়ে তা তাদের দেহে বিপাক ঘটিয়ে অত্যন্ত পুষ্টিকর, গাঢ় বাদামি, দানাদার সার তৈরি করে। এটি সাধারণ কম্পোস্টের চেয়ে দ্রুত তৈরি হয় (১-২ মাস)।

ভার্মি কম্পোস্টের ব্যবহার ও সুবিধা:

১. মাটির স্বাস্থ্য উন্নয়ন:  – মাটির গঠন, বায়ু চলাচল ও জলধারণ ক্ষমতা বাড়ায়।   – মাইক্রোবিয়াল কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে মাটিকে প্রাণবন্ত করে।

২. উদ্ভিদের পুষ্টি সরবরাহ: – NPK (নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম) ছাড়াও ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্কসহ ৬০+ রকমের মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকে।   – পুষ্টি ধীরে ধীরে ছেড়ে দেয়, ফলে গাছ দীর্ঘ সময় পুষ্টি পায়।

৩. রাসায়নিক সারের বিকল্প:  – পরিবেশবান্ধব এই সার রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমায়, মাটির দূষণ রোধ করে।

৪. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা:  – রান্নাঘর ও কৃষি বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করে পরিবেশ রক্ষা।

৫. গাছের রোগ প্রতিরোধ: – এতে থাকা উপকারী অণুজীব (ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাই) গাছকে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

৬. বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ:

– কৃষি: ধান, গম, শাকসবজি, ফলদ গাছে।

– বাগান: ফুল, ঔষধি গাছ, লন ও গৃহসজ্জার গাছ।

– নার্সারি: চারা উৎপাদনে।

– জৈব চাষ: জৈব সার হিসাবে অপরিহার্য।

 

ব্যবহারের পদ্ধতি:

– মাঠের ফসলে: হেক্টরপ্রতি ২–৫ টন শেষ চাষের সময় মাটির সাথে মিশিয়ে।

– বাগানে: গাছের গোড়ায় ১০০–৫০০ গ্রাম (গাছের আকার অনুযায়ী) প্রয়োগ।

– চারা রোপণ: গর্তে ১০০–২০০ গ্রাম মাটির সাথে মিশিয়ে।

– টবে: ১:৩ অনুপাতে (১ অংশ ভার্মি কম্পোস্ট + ৩ অংশ সাধারণ মাটি)।

 বিশেষ সুবিধা:

– বিষমুক্ত: রাসায়নিক অবশিষ্টাংশ নেই।

– সাশ্রয়ী: বাড়িতেই তৈরি করা যায়।

– টেকসই: মাটির দীর্ঘমেয়াদী উর্বরতা বজায় রাখে।

ভার্মি কম্পোস্ট আধুনিক কৃষি ও টেকসই চাষাবাদের জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকর সমাধান। এটি মাটির স্বাস্থ্য ফিরিয়ে এনে ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়ায়, পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণেও ভূমিকা রাখে।